Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বাজার ফান্ড প্রশাসন

         

                      ব্রিটিশ শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন মিউনিসিপালিটি ছিলনা। তাই পৌরসভার বিকল্প হিসেবে ভারত সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে ৫৫১১ নং আদেশের আওতায় এতদঞ্চলের বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কার্যাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে একটি বিশেষ স্থানীয় তহবিল গঠন করা হয়। এ তহবিলের নামকরণ করা হয় ‘বাজার ফান্ড’। পরবর্তীতে ‘বাজার ফান্ড রুলস, ১৯৩৭’ প্রণয়ন করে এ ব্যবস্থাকে বিধিবদ্ধ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ও বাজার ফান্ড রুলস কার্যকর হবার পর এ প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণমূলক কার্যাদি সম্পাদনের বিষয় পরিহার করে এবং এটির কার্যাবলী সম্পূর্ণরূপে হাট বাজার নিয়ন্ত্রণ, হাট বাজারের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ট্যাক্স বা কর আদায়ের উপর সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের তিন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইনের প্রথম তফসিলের ১০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাজার ফান্ড প্রশাসন জেলা পরিষদের আওতায় ন্যস্ত করা হয়েছে।

বাজার ফান্ড রুলস এর ৪ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ডেপুটি কমিশনার হচ্ছেন ‘বাজার ফান্ড প্রশাসক’। এ ধারাটি এখনও বহাল রয়েছে। কিন্তু এটি জেলা পরিষদে ন্যস্ত হওয়ার কারণে সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা পরিষদের চেয়ারম্যানকে বাজার ফান্ড প্রশাসক করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এ সংস্থার আওতায় ৩৩টি হাট-বাজার ছিল। বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে বাজার ফান্ড প্রশাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ৩৯টি হাট-বাজার রয়েছে।

                   বাজার ফান্ড প্রশাসনের প্রধান কাজ হচ্ছে - হাট-বাজার নিয়ন্ত্রণ ও নতুন বাজার প্রতিষ্ঠা। এছাড়া এ সংস্থা তার আওতাধীন বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য খাসজমি ১০ বছর মেয়াদী ইজারা প্রদান করে থাকে। উক্ত মেয়াদের পর জমির ইজারা নবায়ন করতে হয়। প্রশাসক যাবতীয় আপত্তি ও বিবেচ্য বিষয় যাচাই পূর্বক অনুরূপ ইজারা চুড়ান্ত করেন। বর্তমানে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাজার ফান্ড এলাকার আওতাধীন খাস জমি ইজারা বা বন্দোবস্ত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধিমালা, ১৯০০ এর ৩৪ বিধির ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আবাসিক উদ্দেশ্যে দীর্ঘমেয়াদী লীজ বা বন্দোবস্ত প্রদান করা হচ্ছে।

                   একজন বাজার চৌধুরী ইজারাকৃত জমির খাজনা ও সংরক্ষণ কর আদায় করে থাকেন। তিনি প্রশাসক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বিধিমালায় সাব-ইন্সপেক্টরের পদমর্যাদার নীচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, ফরেষ্টার পদমর্যাদার নীচে নয় এমন বন কর্মকর্তা, হেডম্যান বা উপযুক্ত দোকানদারকে বাজার চৌধুরী পদে নিয়োগ প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে বর্তমানে কোন সরকারী কর্মকর্তা এ পদে নিয়োজিত নেই। বর্তমানে স্থানীয় অধিবাসীদের এ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং ইতোমধ্যে পদটি অনেকটা বংশানুক্রমিক পদে পরিণত হয়েছে। বাজার চেীধুরী আদায়কৃত খাজনার একটি নির্দিষ্ট অংশ কমিশন পেয়ে থাকেন। নিয়োগের সময় প্রশাসক কমিশনের হার নির্ধারণ করেন। তবে এ হার আদায়ের অনধিক ২০ শতাংশ হয়ে থাকে। পূর্বে প্রশাসক সময়ে সময়ে কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে জমির সালামী ও খাজনার হার নির্ধারণ করতেন। সাম্প্রতিককালে এ বিধি অনুসরণ করা হচ্ছেনা। বর্তমানে হাট-বাজার সমুহ টেন্ডারের মাধ্যমে এক বছর মেয়াদী ইজারা প্রদান করা হচ্ছে। এ ইজারার অর্থ হতে ২৫% হারে সংশি­ষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে প্রদান করা হয় এবং বাজার চৌধুরী ১৫% হারে কমিশন পেয়ে থাকেন। অবশিষ্ট অর্থের মধ্যে ৭.৫০% সরকারী তহবিলে এবং ৫২.৫০% বাজার ফান্ডের নিজস্ব তহবিলে জমা করা হয়ে থাকে।

 

 

যোগাযোগঃ    

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,

বাজার ফান্ড কার্যালয়,

নিউ কোর্ট বিল্ডিং এলাকা,

রাঙ্গামাটি।