অতীতে এতদঞ্চলের অর্থনীতি ছিল জুম নির্ভর। জুমে সাধারণত ধান, তুলা, তিল, ভূট্টা, আলু, মিশ, যব, বেগুন, লাউ, আদা, হলুদ, চালকুমড়া, মরিচ, পুঁইশাক, করলা, মেটে আলু ইত্যাদি ফসল উৎপন্ন হতো। উৎপাদনে সিংহভাগ নিজেরাই ভোগ করতেন। সামন্য কিছু উদৃত্ত স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হতো। এর পাশাপাশি পাহাড় থেকে বনজ সম্পদ আহরণ করা হতো যা গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত হতো। তারও কিছু অংশ চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাঁচার করা হতো। বর্তমানে জোট মালিকগণ কর্তৃক উৎপাদিত বনজ সম্পদ এতদঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আদা, হলুদ, কচু, কাঁঠাল, আনারস, আম, কলা, মরিচ, পেঁপেঁ, সরিষা, কাজুবাদাম ইত্যাদি। তবে এখানে কোন হিমাগার না থাকায় মৌসুমী ফলমুল সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কৃষকরা নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এতদঞ্চলে উৎপাদিত এসব ফল জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারতো। তাছাড়া এখানে কৃষি ও বনজ সম্পদ নির্ভর শিল্প-কারখানা স্থাপন করা সম্ভব।
এখানকার মাটি ফলজ ও বনজ বৃক্ষের জন্য উপযোগী। এখানে ফল ও বন বাগানের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বড় আকারের রাবার বাগানও সৃজন করা যায়। চা চাষের জন্য এতদঞ্চলের মাটি খুবই উপযোগী। এ সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে জাতীয় অর্ধনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস