Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

lake city Rangamati

Details

জেলা-ব্র্যান্ডিং রাঙ্গামাটি

কর্ম-পরিকল্পনা

জেলা প্রশাসন, রাঙ্গামাটি

লেকসিটি রাঙ্গামাটি

১.প্রেক্ষাপটঃ

লেক, পাহাড়, ঝরণা প্রকৃতির কন্যা রাঙ্গামাটি। রূপময়ী বাংলা যেন রূপের রাণী হয়েছে রাঙ্গামাটির অপরূপ সৌন্দর্যের রাজমুকুটটি ধারন করেই। চারপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়ের দৃঢ়তার সাথে লেকের জলের বহমান স্নিগ্ধতা যেন স্রষ্টার সৃষ্টির অপরূপ ঐকতান। বিরাজিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ১১ টি ভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান বিশেষ মনোযোগের দাবীদার। সম্প্রদায়গুলোর পৃথক পৃথক পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা ও সংস্কৃতি দ্বারা এ জেলাটি বিশেষায়িত । ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে জেলাটিকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র করে তোলা সম্ভব হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জাতিগত বৈচিত্র্যের কারণে দেশে বিদেশে রাঙ্গামাটির সুখ্যাতি রয়েছে। কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প সম্ভাবনাময়। এ শহরটি আশানুরূপভাবে পর্যটক  আকর্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হবে যথাযথ পরিচর্যা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে। জেলা ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে যথাযথ পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে খুব সহজেই কাপ্তাই লেক কেন্দ্রিক পর্যটনের বিকাশ ত্বরান্বিত করা সম্ভব । কাপ্তাই লেককে যথাযথভাবে ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হলে তা রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্প বিকাশে ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। পর্যটন শিল্পের যথাযথ বিকাশ সাধিত হলে বিশ্বে রাঙ্গামাটির অন্যান্য বিশেষ বিশেষ পণ্য  যেমনঃ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিশেষ পোশাক পিনন-হাদি, তাঁদের বিশেষ রন্ধন শৈলী- কেবাং, তাদের বিশেষ ধরনের সাংস্কৃতি, বিশেষ করে বর্ষবরন উৎসব- বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিহু ও পন্য হিসেবে খ্যাতি লাভ করবে।

 

. রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্দেশ্যঃ

  • রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পের বিকাশ।
  • জেলার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গতিসঞ্চার।
  • এই ক্ষেত্রে জেলার অর্থনৈতিক, সামাজিক, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
  • স্থানীয় বিনিয়োগকারী তৈরী।
  • জেলার সর্বস্তরের মানুষকে জেলার উন্নয়নের অংশীদার করা।
  • কাপ্তাই হ্রদকে দূষণ মুক্ত করা।

৩. জেলা ব্র্যাণ্ডিংয়ের বিষয়ঃ

কাপ্তাই হ্রদ

.লোগো ট্যাগলাইনঃ

বৃত্তের মাঝে পাহাড়বেষ্টিত রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাইয়ের নীল জলের ঢেউ খেলে যাওয়ার চিত্র দেশী বিদেশী পর্যটকদের আহবান করছে একবার তার রূপ উপভোগ করে যাবার জন্য। লোগোটির ভেতরের বৃত্তটির নিচের অংশ ফুলের পাপড়ির মত বিকশিত হয়ে জানান দিতে চাইছে প্রাকৃতিক বৈচিত্রের সাথে সাথে এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা। আর পাহাড় চূড়ার উদিত সূর্যটি বলে যাচ্ছে ১১ গোত্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা। লেকের জলে ভেসে থাকা নৌকার মাঝি কবি, লেখক ও গবেষকদের বলছে জীবন বৈচিত্র্য দেখে যেতে।

.কাপ্তাই হ্রদকে জেলা ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচনের যৌক্তিকতাঃ

১৯৬০ সাল থেকে কাপ্তাই হ্রদের সুকোমল জলধারা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বুক জুড়ে বয়ে চলেচে। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাধের ফলে সৃষ্ট এ জলাধান। দিনে দিনে হয়ে উঠেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি, আর রাঙ্গামাটিবাসীর জবিীকার অফুরান উৎস্য। পর্যটনে রাঙ্গামাটির যতখানী বলা যায় তার সবটুকুই এ কাপ্তাই হ্রদের অবদান। রাঙ্গামাটির সুপরিচিত সবগুলো পর্যটন আকর্ষন কেন্দ্রই গড়ে উঠেছে এই কাপ্তাই হ্রদের পাড় দিয়ে। ঝুলন্ত ব্রীজ, রাজবন বিহার, শুভলং ঝরণা, পেঁদা টিং টিং, আরন্যক, ইত্যাদি।

কাপ্তাই লেকের সৃষ্টির পূর্বে দুর্গম আর বৈচিত্র্যপূর্ণ এ অঞ্চলটি যেন পুরোপুরি অনাবিষ্কৃতই ছিলো ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয় এ জেলার মানুষের জীবিকারও প্রধান উৎস্য এই কাপ্তাই হ্রদ। কাপ্তাই হ্রদকে জেলা ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে বিশ্বের বুকে পরিচিত করে দেয়া সম্ভব হলে সমগ্র সাধারন নিয়মেই রাঙ্গামাটির অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করবে । কাপ্তাই লেক রাঙ্গামাটির জন্য শুধু একটি জলাধার নয় -সমগ্র রাঙ্গামাটিবাসীর জীবনে প্রাণ সঞ্চারিনীর মতই। রাঙ্গামটির বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চল থেকে যাতায়াতেরও একমাত্র পথ কাপ্তাই হ্রদের জলপথ।

কাপ্তাই হ্রদ কেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশিত হলে-

  • কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হবে। যেমন- ট্যুর গাইডিং, হোটেল ব্যবসা ইত্যাদি।
  • স্থানীয় কুটির শিল্পীদের পণ্যের বাজার বৃদ্ধি পাবে।
  • দেশে বিদেশে পরিচিত হবে স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও পণ্য।
  • স্থানীয় অন্যান্য পণ্য যেমন- কাজু বাদাম, পিনন-হাদি, কেবাং, কুড়ুল ইত্যাদিরও একটি আলদা বাজার তৈরি হবে।
  • কাপ্তাই হ্রদের পরিবেশগত ভারসাম্য বাজার রাখতে সচেতন হবে সবাই।

৬.কাঙ্ক্ষিত ফলাফলঃ

কাপ্তাই হ্রদকে ব্যন্ডিংয়ের মাধ্যমে নিন্মোক্ত ফলাফলসমূহ অর্জনের লক্ষ্যে সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যক্রম পরিচালনা করা হবেঃ

  • রাঙ্গামাটিতে বাৎসরিক পর্যটকদের আগমন - ২০% বৃদ্ধি করা।
  • কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দূষণরোধ কার্যক্রম পরিচালনা -৩০% বৃদ্ধি করা।
  • মাছের উৎপাদন- ৩০% বৃদ্ধি করা।
  • আর্থিক মূল্যে পর্যটন ও মৎস্য সম্পদ ও অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে বার্ষিক- ১০০ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি।

.কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ইতিহাসঃ

কাপ্তাই লেক বাংলাদেশে, এমন কি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মনুষ্যসৃষ্ট স্বাদুপানির হ্রদ। এই হ্রদ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি জেলার একটি কৃত্রিম হ্রদ। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় এবং এ হ্রদের সৃষ্টি হয়। প্রধানত  জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এর সৃষ্টি হলেও, এ জলাধারে প্রচুর পরিমাণে মিঠাপানির  মাছ চাষ হয়। নৌবিহার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি আবাদ ইত্যাদিতেও এর অবদান উল্লেখযোগ্য। পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলি নদীতে  বাঁধ দেওয়ার কারণে জলাধারটি গড়ে ওঠে। মূল লেকের আয়তন প্রায় ১,৭২২ বর্গ কিমি, তবে আশপাশের আরও প্রায় ৭৭৭ বর্গ কিমি এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। মূলত রাঙ্গামাটি জেলাতেই জলাধারটি সীমিত যার অন্তর্ভুক্ত উপজেলাসমূহ হচ্ছে রাঙ্গামাটি সদর,  কাপ্তাই, নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি।

 

৮.কাপ্তাই হ্রদের বিবরণঃ

Kaptai Lake.jpg

ইংরেজি এইচ বর্ণের আকৃতি বিশিষ্ট কাপ্তাই লেকের দুটি বাহু সুভলং-এর কাছে একটি সংকীর্ণ গিরিসঙ্কট দ্বারা সংযুক্ত যা কর্ণফুলি নদীর গতিপথের একটি অংশ। হ্রদের ডান বাহু অর্থাৎ কাসালং দক্ষিণ দিকে দুটি অন্তঃপ্রবাহী নদী মাইনি ও  কাসালং দ্বারা এবং পাশ দিয়ে কর্ণফুলি নদী দ্বারা পুষ্ট। রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই, অর্থাৎ বাম বাহুটি দুটি নদী, উত্তরে চেঙ্গী বা চিংগ্রী ও দক্ষিণে  রাইনখিয়াং দ্বারা পুষ্ট। কর্ণফুলি নদী তিনটি প্রধান শাখার জন্ম দিয়েছে- একটি রাঙ্গামাটিতে, একটি ধুলিয়াছড়িতে ও অপরটি কাপ্তাইয়ে। রাঙ্গামাটি ও ধুলিয়াছড়ি শাখাদ্বয় বর্তমানে কাপ্তাই বাঁধ দ্বারা সৃষ্ট জলাধারের অধীনে। কাপ্তাই হ্রদ মধ্য কর্ণফুলি উপত্যকার প্রায় সমগ্র অংশ এবং চেঙ্গী, কাসালং ও রাইনখিয়াং নদীর নিম্ন মোহনাসমূহকে নিমজ্জিত করেছে। কাপ্তাই হ্রদের তটরেখা ও অববাহিকা খুবই অনিয়মিত। এর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংস্থানিক ও জলবিজ্ঞানসংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যাদি নিম্নরূপ: পৃষ্ঠদেশের উচ্চতা ৩১.১ মিটার, তলদেশের আয়তন ৫৮,৩০০ হেক্টর, ঘনমান (volume) ৫,২৪,৭০০ ঘন মিটার, মোট বার্ষিক ক্ষরণ ১৭,০৭,০০০ ঘন মিটার, সঞ্চয় অনুপাত ০.৩১, গড় গভীরতা ৯ মিটার, সর্বোচ্চ গভীরতা ৩২ মি, নির্গমদ্বারের গভীরতা ১৫.৫মি, পানি সীমার বাৎসরিক গড় হ্রাসবৃদ্ধি ৮.১৪ মি, বর্ধিষ্ণু মৌসুম ৭৬ দিন এবং ২৫° সে তাপমাত্রায় আপেক্ষিক পরিবাহিতা ১৪৪ মাইক্রো-মোহ্স।

ভূতাত্ত্বিকভাবে কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কাপ্তাই হ্রদের নিম্নাঞ্চল (অর্থাৎ কাপ্তাই নিম্নভঙ্গ) প্রতিবর্তী কর্দমশিলা ও পলিশিলার সঙ্গে প্রধানত হলুদাভ-বাদামি, সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি দানাদার, ঘন থেকে তির্যক স্তরিত বেলেপাথরে গঠিত (টিপাম বেলেপাথর স্তরসমষ্টি) এবং ঊর্ধ্বাঞ্চল হলুদাভ-বাদামি, সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি দানাদার, উপকৌনিক থেকে উপগলিত, মাঝারি থেকে কম বাছাই, ভারি থেকে ঘন স্তরিত এবং সুরক্ষিত পত্রছাপসমৃদ্ধ মাঝে মাঝে তির্যক স্তরিত  বেলেপাথর এবং তার সঙ্গে স্ফটিক দানা, নুড়ি ও কাদা পাথর দ্বারা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত (ডুপি টিলা স্তরসমষ্টি)।

সুভলং ও বরকলের আশপাশে অবশ্য হ্রদটি প্রধানত  ভুবন স্তরসমষ্টি দ্বারা গঠিত। স্থানীয় লোকজন হ্রদটিকে ঘিরে রাখা প্রতিরক্ষামূলক গাছপালা উজাড় করে ফেলায় এ সব শিলাপাথর বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে সহজেই ক্ষয়িত হচ্ছে। এতে  ভূমিধস সংঘটিত হচ্ছে এবং আলগা  শিলা পদার্থসমূহ ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নদীবাহিত হয়ে হ্রদে গিয়ে পড়ছে। ফলে হ্রদটি দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নববইয়ের দশকের প্রথম দিকে যখন হ্রদটির বয়স ৩০ বছর, তখনই এর প্রায় ২৫% ভরাট হয়ে এসেছিল।

কাপ্তাই লেক

জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও হ্রদটি অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। লেকটির মাধ্যমে একটি বৈচিত্রপূর্ণ ও দীর্ঘ জলপথের সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেখানে অনেক জায়গায় যেতে সারাদিন বা তারও বেশি লেগে যেত, এখন সেখানে স্পিড বোট বা লঞ্চে যেতে লাগছে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময়। পাহাড়ব্যাপী জঙ্গলে বনজ সম্পদ অনুসন্ধানে এখন অনেক দূর্গম অঞ্চলেও সহজে ঢোকা সম্ভব হচ্ছে। সমগ্র হ্রদটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।  কৃষি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নেও হ্রদটির অবদান উল্লেখযোগ্য। বছরের বিভিন্ন মাসে হ্রদে পানির উচ্চতা ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায়, হ্রদতীরবর্তী এলাকা এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় সেচ সুবিধা লাভ করছে যা চাষের জন্য জমিকে খুব উর্বর করে তুলছে। এখানকার জনগণ  স্থানীয় সরকার-এর সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ইজারা ব্যবস্থায় প্রায় ৬,০৭৫ হেক্টর এলাকায় নিয়ন্ত্রিত কৃষিকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হ্রদটির আনুমানিক আয়ুষ্কাল ৯০ বছর যার পর এর তলদেশ পলিপাথরের আস্তরণে সম্পূর্ণ মজে যাওয়ার কথা। সে পর্যন্ত হ্রদটি হ্যাচারী ও মৎস্য উৎপাদনের মূল্যবান আধার হিসেবে চালু থাকবে। জলাধারের উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের অন্যান্য এলাকায় চালান করা হয়। বার্ষিক মৎস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৭,০০০ টনের বেশি। তবে বর্ষাকালে ঘন ঘোলাস্রোতের কারণে  প্ল্যাঙ্কটন উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে পানির স্রোতের সঙ্গে বয়ে আসে অতি উচ্চমানের পুষ্টি সরবরাহ। তাই পানি পরিষ্কার হয়ে এলে প্ল্যাঙ্কটনের উৎপাদন আবার বৃদ্ধি পায়। নীলসবুজ ও সবুজ  শৈবাল ও ডায়াটম এ জলাধারের উদ্ভিদকণার প্রধান উপাদান যা রুই-কাতল মাছের প্রধান খাদ্য। এখানকার জুপ্লাঙ্কটন রোটিফার দ্বারা প্রভাবিত। অন্যান্য জুপ্লাঙ্কটনের উপাদান খুবই কম যা অধিকাংশ গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলাধারের বৈশিষ্ট্য। বেন্থিক প্রাণীকুলের মধ্যে রয়েছে প্রধাণত রক্ত-কৃমি বা জোঁক, শামুকজাতীয় প্রাণী, এনিলিডস ও কেওবারিডস।

৯.রাঙ্গামাটির জেলা-ব্র্যান্ডিংয়ের কর্ম-পরিকল্পনাঃ  

  • স্বল্পমেয়াদঃ ০৬ মাস
  • মধ্যমেয়াদঃ ০১ বছর ০৬ মাস
  • দীর্ঘমেয়াদঃ বছর

কর্ম-পরিকল্পনার ছকঃ

ক্রমিক নং

কার্যক্রম

কর্মসম্পাদন সূচক

দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি/ব্যক্তি

সময়সীমা

অর্থায়ন

সহায়তাকারী

সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহনে মতবিনিময় এবং ব্র্যান্ডিং এর বিষয় নির্ধারন

মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান ও বিষয় নির্ধারণ

জেলা প্রশাসক

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত এবং বিষয় নির্ধারিত

প্রযোজ্য নয়

জেলার জনগণ

একজন জেলা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ ও বিভিন্ন কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন এবং দয়িত্ব বণ্টন

ফোকাল পয়েণ্ট ও বিভিন্ন কমিটি গঠিত

জেলা কমিটি/ জেলা প্রশাসক

এপ্রিল ২০১৭

প্রযোজ্য নয়

জেলার সকল অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

নাম,লোগো ও ট্যাগ লাইন নির্ধারণ

চিহ্নিত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

জেলার সকল অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নির্ধারণ

উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নির্ধারিত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

জেলার সকল অংশীদার

সময়াবদ্ধ পরিকল্পণা প্রণয়্ন

পরিকল্পণা প্রণীত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

 

 

লেকের বর্তমান অবস্থা,অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক গবেষণা

গবেষণা প্রতিবেদন

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

কাপ্তাই লেককে ব্র্যাণ্ড করার ক্ষেত্রে SWOT বিশ্লেষণ

বিশ্লেষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ব্র্যাণ্ডিং এর সাথে সম্পৃক্তকরণ

কাপ্তাই লেক কেন্দ্রিক পর্যটনের প্রচারণায় প্রতিফলিত

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

সম্ভাব্য বাজার বিশ্লেষণ

বিশ্লেষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

জুন ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১০

প্রচার

প্রচারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১১

ব্র্যাণ্ড বুক প্রণয়ন

ব্র্যাণ্ড বুক প্রণীত

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১২

পরিকল্পনা বাস্তবায়ন

দায়িত্ব অনুযায়ী কর্ম সম্পাদিত, অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১৩

বাস্তবায়ন তদারকি ও পরিবীক্ষণ

পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১৪

অগ্রগতি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনে পরিকল্পণা সংশোধন

মূল্যায়ন প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

 

৯.১ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে মতবিনিময় এবং ব্র্যান্ডিং এর বিষয় নির্দিষ্টকরণঃ

জেলার সকল স্তরের জনগণের অংশগ্রহণে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্র হিসেবে কাপ্তাই হ্রদকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

. একজন জেলা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ বিভিন্ন কমিটি উপ কমিটি গঠনঃ

প্রাথমিকভাবে খসড়া জেলা ব্র্যান্ডিং কৌশলপত্রের আলোকে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাঙ্গামাটি কে ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে এবং পাশাপাশি অন্যান্য উপ-কমিটি গঠনের কাজটি চলমান রয়েছে।

. নাম, লোগো, ট্যাগলাইন নির্ধারণঃ

ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য নির্ধারিত বিষয় কাপ্তাই লেকের উপর ভিত্তি করে শুরুতেই উল্লিখিত লোগো ও ট্যাগলাইন নির্ধারণ করা হয়েছে।

. উদ্দেশ্য কাঙ্খিত ফলাফল নির্ধারণঃ

কাপ্তাই হ্রদকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্দেশ্যে ও কাঙ্খিত ফলাফল শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে।

. সময় বদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়নঃ

প্রত্যেকটি কাজকে চিহ্নিত করে কে কখন সম্পাদন করবে তা নির্ধারণ এবং কর্মসম্পাদন সূচক ঠিক করে একটি তিন বছর মেয়াদী একটি খসড়া পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমকে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ারও চেষ্টা পরিকল্পনায় অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে।

. পর্যটনে কাপ্তাই হ্রদের বর্তমান বাজার, অবকাঠামো অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক গবেষণাঃ

সার্বিক পরিকল্পনা স্বার্থে পর্যটনে কাপ্তাই হ্রদের বাজারের বর্তমান অবস্থা, অবকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যে গবেষণা শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আগামী এপ্রিল ২০১৭ এর মধ্যে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

৯.৭ কাপ্তাই হ্রদের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণঃ

সার্বিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে প্রাথমিকভাবে নিম্নোক্ত সোয়াট বিশ্লেষন করা হয়েছে।

শক্তিঃ

  • অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ প্রকৃতি তার মনের মাধুরী মিশিয়ে অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার করে তুলেছে রাঙ্গামাটিকে।
  • পর্যটনে বর্তমান পরিচিতিঃ ইতোমধ্যেই পর্যটনে কাপ্তাই হ্রদের পরিচিতি রয়েছে। বিদ্যমান জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কাপ্তাই হ্রদকে আরো জনপ্রিয় করে তোলা সহজ হবে।
  • জেলার অন্যান্য ঐতিহ্যের পরিচিতিঃ সাম্প্রদায়িক বৈচিত্র্য ও বিশেষ বিশেষ ধরনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো পর্যটক আকর্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে।

দুর্বলতাঃ

  • স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা এ জেলায় পর্যটন উন্নয়নের এক বিরাট প্রতিবন্ধক।
  • অপরিকল্পিত নগরায়নঃ অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ইতোমধ্যে রাঙ্গামাটিতে প্রাকৃতিক দূষণ শুরু হয়েছে যা অচিরেই সুন্দর রাঙ্গামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হানি ঘটাতে পারে।
  • হ্রদের দূষণঃ হ্রদের দূষনের কারণে পর্যটক আকর্ষণের ক্ষমতা হুমকীর মুখে পড়তে পারে।

সম্ভাবনাঃ

  • কর্মসংস্থান সৃষ্টিঃ কাপ্তাই হ্রদের যথাযথ ব্র্যাণ্ডিং করা সম্ভব হলে রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
  • দেশ-বিদেশে পর্যটনে ব্যাপক পরিচিতিঃ ব্র্যাণ্ডিংয়ের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদ দেশে- বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করবে।
  • সম্পূরক শিল্পের বিকাশঃ কাপ্তাই হ্রদের পর্যটন শিল্প বিকশিত হলে স্থানীয় কুটির শিল্প ও অন্যান্য পণ্য দ্রব্যের বাজার বিস্তার লাভ করবে।

ঝুঁকিঃ

  • নিকটবর্তী পর্যটন জেলার সাথে প্রতিযোগিতাঃ নিকটবর্তী পর্যটন  জেলা বান্দরবানের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হলে এখন থেকেই বিভিন্ন প্রকার পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।
  • পর্যটকদের নিরাপত্তাঃঅনেক সময় দেশী-বিদেশী পর্যটকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করা সম্ভব হবে না।

.বাজার বিশ্লেষণঃ

দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের নিকট কাপ্তাই হ্রদের জনপ্রিয়তা তৈরি ও যথাযথ বিপণনের সুবিধার্থে বাজার বিশ্লেষণ শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এ হ্রদের জনপ্রিয়তা প্রতিযোগী, মূল্য, নকশায় নতুন্ত আনা ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। আগামী জুন ২০১৭ এর বাজার বিশ্লষণ সম্পন্ন করা হবে।

৯.৯ প্রচারঃ

কাপ্তাই হ্রদকে ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যে পর্যাপ্ত প্রাচরণার ব্যবস্থা করা হবে। প্রচারণার জন্য নিন্মোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে-

প্রচারণার উপায় নিন্মরূপঃ

  • লিফলেট
  • স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা (চলমান)
  • বিলবোর্ড (চলমান)
  • ব্যানার (চলমান)
  • ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া (চলমান)
  • মেলার আয়োজন (প্রক্রিয়াধীন)
  • জেলা-ব্র্যান্ডিং উৎসব
  • ওয়েবসাইট তৈরি
  • অফিস আদালতে কাপ্তাই হ্রদের দৃষ্টিনন্দন ছবি
  • সকল অনুষ্ঠান জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের আবহে সাজানো (চলমান)সাংস্কৃকিত অনুষ্ঠান/প্রতিযোগিতার আয়োজন।
  • স্থানীয় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাধ্যমে প্রচারণা (চলমান)

.১০ ব্রান্ড বুক প্রণয়ন

রাঙ্গামাটি জেলার ব্র্যান্ডিং উদ্যোগটিরসাথে সম্পৃক্ত কার্যসমূহনিয়ে একটি ব্র্যান্ড বুক তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মে-২০১৭ এর মধ্যে তা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

৯.১১ পরিকল্পনা বাস্তবায়নঃ

সার্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিম্নোক্তভাবে জেলা-ব্র্যান্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা ব্র্যান্ডিং বাস্তবায়ন কমিটিঃ

জেলা প্রশাসক, রাঙ্গামাটি

সভাপতি

পুলিশ সুপার, রাঙ্গামাটি

সদস্য

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, রাঙ্গামাটি

সদস্য

উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, রাঙ্গামাটি

সদস্য

সিভিল সার্জন, রাঙ্গামাটি

সদস্য

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, রাজস্ব, শিক্ষা ও আইসিটি)

সদস্য

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট

সদস্য

উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

সদস্য

উপ-পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর

সদস্য

নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ

সদস্য

নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ

সদস্য

নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল

সদস্য

সংশ্লিষ্ট সকল পৌরসভা মেয়র

সদস্য

সংশ্লিষ্ট সকল ইউএনও

সদস্য

জেলা তথ্য অফিসার

সদস্য

জেলা বাজার কর্মকর্তা

সদস্য

জেলা কালচারাল অফিসার

সদস্য

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার

সদস্য

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চেম্বার অব কমার্স

সদস্য

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, প্রেস ক্লাব

সদস্য

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, হোটেল মালিক সমিতি

সদস্য

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপ

সদস্য

স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি

সদস্য

স্থানীয় নারী নেত্রী/ব্যবসায়ী

সদস্য

সভাপতি/গোত্র প্রধান সংশ্লিষ্ট নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী

সদস্য

জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান

সদস্য

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)

সদস্য সচিব

 

বিভিন্ন উপ-কমিটিঃ

উপ-কমিটিসমূহ বাস্তবায়ন কমিটির অধীনস্থ কমিটি বা উপ-কমিটি হিসেবে কাজ করবে। উদাহারণ- স্বরূপ

  • গবেষণা উপ-কমিটি
  • অবকাঠামো সংক্রান্ত উপ-কমিটি
  • প্রচার উপ-কমিটি
  • আইন-শৃঙ্খলা উপ-কমিটি
  • ব্র্যান্ড বুক উপ-কমিটি ইত্যাদি।

 

৯.১২ বাস্তবায়ন তদারকি পরিবীক্ষণ

একটি কমিটি জেলা ব্র্যান্ডিং বাস্তবায়ন কার্যক্রমের তদারকি ও পরিবীক্ষণ করবে। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হবে।

৯.১৩ অগ্রগতি মূল্যায়ন প্রয়োজনে পরিকল্পনা সংশোধনঃ

ব্র্যান্ডিং এর কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা এবং হলেও সেটার অগ্রগতি কতটুকু তা ছয়মাস পর পর মূল্যায়ন করা হবে। অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য নিম্নোক্ত সূচকসমূহ ব্যবহার করা হবেঃ

 

অগ্রগতি নির্দেশক

অবস্থা

ব্র্যান্ড পরিচিতি (ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষ কতটুকু অবগত?)

হয়েছে/হয়নি

কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েচে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

পর্যটকদের আগমন বেড়েছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

মাছ উৎপাদনের পরিমান বেড়েছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

জেলাকে ব্র্যাণ্ডিং নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

আনুষঙ্গিক পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

হ্রদের দূষণ কমেছে কিনা?

হয়েছে/হয়নি

পর্যট

Action Plan of District Branding

রাঙ্গামাটির জেলা-ব্র্যান্ডিংয়ের কর্ম-পরিকল্পনাঃ  

  • স্বল্পমেয়াদঃ ০৬ মাস
  • মধ্যমেয়াদঃ ০১ বছর ০৬ মাস
  • দীর্ঘমেয়াদঃ বছর

 

 

কর্ম-পরিকল্পনার ছকঃ

ক্রমিক নং

কার্যক্রম

কর্মসম্পাদন সূচক

দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি/ব্যক্তি

সময়সীমা

অর্থায়ন

সহায়তাকারী

সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহনে মতবিনিময় এবং ব্র্যান্ডিং এর বিষয় নির্ধারন

মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান ও বিষয় নির্ধারণ

জেলা প্রশাসক

ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত এবং বিষয় নির্ধারিত

প্রযোজ্য নয়

জেলার জনগণ

একজন জেলা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ ও বিভিন্ন কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন এবং দয়িত্ব বণ্টন

ফোকাল পয়েণ্ট ও বিভিন্ন কমিটি গঠিত

জেলা কমিটি/ জেলা প্রশাসক

এপ্রিল ২০১৭

প্রযোজ্য নয়

জেলার সকল অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

নাম,লোগো ও ট্যাগ লাইন নির্ধারণ

চিহ্নিত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

জেলার সকল অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নির্ধারণ

উদ্দেশ্য ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নির্ধারিত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

জেলার সকল অংশীদার

সময়াবদ্ধ পরিকল্পণা প্রণয়্ন

পরিকল্পণা প্রণীত

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

এপ্রিল ২০১৭

 

 

লেকের বর্তমান অবস্থা,অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক গবেষণা

গবেষণা প্রতিবেদন

জেলা ব্র্যাণ্ডিং বাস্তবায়ন কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

কাপ্তাই লেককে ব্র্যাণ্ড করার ক্ষেত্রে SWOT বিশ্লেষণ

বিশ্লেষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে ব্র্যাণ্ডিং এর সাথে সম্পৃক্তকরণ

কাপ্তাই লেক কেন্দ্রিক পর্যটনের প্রচারণায় প্রতিফলিত

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

সম্ভাব্য বাজার বিশ্লেষণ

বিশ্লেষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

জুন ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১০

প্রচার

প্রচারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১১

ব্র্যাণ্ড বুক প্রণয়ন

ব্র্যাণ্ড বুক প্রণীত

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

মে ২০১৭

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১২

পরিকল্পনা বাস্তবায়ন

দায়িত্ব অনুযায়ী কর্ম সম্পাদিত, অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১৩

বাস্তবায়ন তদারকি ও পরিবীক্ষণ

পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ

১৪

অগ্রগতি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনে পরিকল্পণা সংশোধন

মূল্যায়ন প্রতিবেদন

সংশ্লিষ্ট কমিটি/উপ কমিটি

চলমান

সরকারি/ বেসরকারি

অংশীজন গ্রুপের নেতৃবৃন্দ