স্বাধীনতার পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে ফলজ বাগান সৃজনের জন্য উদ্যান উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফলের চারা বিতরণ করা হয় এবং এসব চাষে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এসবের মধ্যে কাজুবাদাম অন্যতম। কিন্তু সে সময় কাজুবাদাম বিপণনে কোন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ না থাকায় এ ক্ষেত্রে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোগে এ মুখরোচক ও সুস্বাদু পণ্যটি প্রক্রিয়াজাত করে বিপণন করা হচ্ছে। এটির ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। রাঙ্গামাটির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এ পণ্যটির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কাজুবাদাম ‘পুন্নাল’ নামক বৃক্ষের বীজ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে প্রস্ত্তত করা হয়।
বৃক্ষ পরিচিতিঃ ‘পুন্নাল’ এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্যালোফাইলাম ইনোফাইলাম’ (Calophyllum inophyllum)। এ বৃক্ষ ‘গ্যাটিফেরি’ (Gutiferae) পরিবারভূক্ত। এটি মধ্যম আকৃতির চির সবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা ৫০-৬০ ফুট হয়ে থাকে। গুড়ি মোটা ও প্রায়শঃই আঁকাবাঁকা। বাকল বাদামি বা কালো, ফুল সাদা ও পাতা ঘন সবুজ উজ্জ্বল। কাঠ শক্ত, লালচে বাদামি রংয়ের, মসৃণ, ভারি ও টেকসই। ফল গোলাকৃতির ও তেলযুক্ত। প্রতি কেজিতে ২৫০-৩০০ টি বীজ ধরে। বীজ সংগ্রহের সময় ডিসেম্বর-জানুয়ারি। বীজের তেল জ্বালানী ও সাবান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নৌকা, জাহাজ বিশেষ করে নৌকার মাস্ত্তল, দাঁড়, আসবাবপত্র তৈরির জন্য উত্তম কাঠ। এ বৃক্ষ থেকে সুগন্ধযুক্ত রঞ্জন পাওয়া যায় যা সুগন্ধি তৈরিতে ব্য্হৃত হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS